১৪৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেও যে কারণে বাদ পড়েছিলেন জুনায়েদ
একটা সময় ছিল যখন পাওয়ার ক্রিকেট সম্পর্কে এতোটা মাতামাতি ছিল না। কেউ এই সম্পর্কে খুব বেশি জানতো না। কিন্তু এখন পাওয়ার ক্রিকেট গোটা বিশ্বকে শাসন করছে। যে দলের ব্যাটাররা যত বেশি পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারছে সে দেশ তত বেশি জয়ের পথে থাকছে। তবে আজ থেকে এক যুগ আগে বাংলাদেশে এক জন পাওয়ার ক্রিকেট খেলতেন তিনি হলেন সাবেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি। ১৪৭+ স্ট্রাইক রেটে টি টোয়েন্টিতে ব্যাট করতেন তিনি।
তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৪। ২০০৭ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচেও হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার। তবে সবার মনে একটাই প্রশ্ন তবুও কেন বাদ পড়লেন টি টোয়েন্টি থেকে। তার অন্যতম কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার যদি যে কোনো এক ফরমেটে ভালো করে তখন তাকে খেলিয়ে দেয়া হয় ওয়ানডে টেস্ট সব ফরমেটে। এতে করে ক্রিকেটাররা বেশির ভাগ সময় মানিয়ে নিতে পারেন না। শেষ হয়ে যায় তাদের ক্যারিয়ার।
আরও পড়ুন: শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য নতুন করে দল ঘোষণা করলো বিসিবি
এমনটাই ঘটেছে জুনায়েদ সিদ্দিকির সাথে। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করা জুনায়েদ সিদ্দিককে নামিয়ে দেয়া হলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ খেলতে। যেখানে তিনি মোটেও ভালো করতে পারেননি। কেননা জুনায়েদ সিদ্দিকি সব সময় খেলে অভ্যাস ছিল ১৩০-১৩৫ গতির বল। আর সেই সময় নিউজিল্যান্ডের পেস বিভাগ ছিল বেশ শক্তিশালী। তারা বল করতো ১৪০-১৪৫ গতিতে। যা জুনায়েদ সিদ্দিকির জন্য ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে পারেননি তিনি।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরমেটে তার ব্যাটিং ছিল অবিশ্বাস্য। এই ফরমেটে তিনি সুযোগ পেতেই পারতেন। কিন্তু অন্য ফরমেটে খারাপ করায় তাকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। যেটা ছিল পুরোটাই অবিচার। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না বাংলাদেশ ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান জুনায়েদ সিদ্দিকি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ৭১ রান। যদি শুধু মাত্র টি টোয়েন্টি পযান্ত সুযোগ পেতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের হয়ে টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ার টা ভিন্ন হতে পারত তার।
আলনিউজবিডি২৪ এর খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই রকম নজির আরও আছে সাব্বির ও নাসির ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরমেটে দারুন খেলতো তাদের খেলিয়ে দেয়া হলে টেস্ট। ফলাফল একই ক্যারিয়ার নষ্ট। আর ইমরুল কথা কি বলবো পারফম করেও বাদ পড়েছেন দল থেকে। শেষ হয়ে গেছে তারও ক্যারিয়ার।