বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত হলেন জাতীয় সংসদ সদস্য। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল খেলেছেন তিনি। বিপিএলের খেলার মাঝে দারুন সুখবর পেয়েছেন মাশরাফি। জতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। যা একজন প্রতিমন্ত্রীর সমান সম্মানের।
বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে এবার তবে কি বিসিবি সভাপতি হচ্ছেন মাশরাফি। কেননা দায়িত্ব থেকে সরে দাড়াবেন বলে জানিয়েছেন বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন। তবে এখানে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বিসিবির বেশ কয়েক জন পরিচালক। তাদের মধ্যে থেকে নাকি কেউ কেউ বোর্ড সভাপতি হতে চেয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, জালাল ইউনুসসহ আরও অনেকে।
তবে এখন শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপনের অবর্তমানে বিসিবি সভাপতি হতে ২৪ জন পরিচালকের কেউ রাজি না। এখানে সবচেয়ে বেশি যে নামটি সামনে এসেছে সেটি মাশরাফির নাম। তাইতো আবারও আশা দেখা যাচ্ছে মাশরাফির বিসিবি সভাপতি হওয়ার বিষয়ে।
এর আগে বাংলাদেশের যারা বিসিবি সভাপতি হয়েছেন তারা বেশির ভাগই ছিল সংসদ সদস্য বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রাখা কেউ। আর বর্তমানে মাশরাফিকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাতে মাশরাফির বিসিবর সভাপতি হওয়ার দিকটা আর শক্ত করেছে।
কেননা এক জন হুইপের দায়িত্ব হলো সংসদ্যের নিয়ম শৃঙ্খলা ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে সহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ঠিক রাখা। যেটা অনেক বড় দায়িত্ব। সংসদের অনেক প্রবীন নেতা থাকা সত্তেও মাশরাফিকে দেয়া হয়েছে এই দায়িত্ব। যদি মাশরাফিকে সংসদের মত বড় জায়গাতে এতো বড় সম্মান দেয়া হয় তাহলে কোনো বিসিবি সভাপতি না। এই থেকে বোঝা যাচ্ছে যে মাশরাফিকে নিয়ে বড় পরিকল্পনা থাকতে পারে সরকারের। এমন হতে পারে মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে চায়তে পারে সরকার।
আগেই বলেছি এর আগে যারা সংসদ সদস্য হয়েছে তাদের মধ্যেই বিসিবি সভাপতি হয়েছেন। সিনা ইবনে জামাল ছাড়া বাংলাদেশের ৩৩ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে কোনো সভাপতি সংসদ সদস্য ছাড়া নির্বাচিত হয়নি।
আর মাশরাফি যখন বাংলাদেশ দলে খেলেছে তখন তার নেতৃত্ব গুনে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনেক দুরে যার সুফল এখন পাচ্ছে টাইগাররা। আর বর্তমান সম্মান অনেক বেড়ে গেছে। তাই একজন সম্মানিত ব্যাক্তির জায়গাই আসতে হলে আরেক জন সম্মানিত ব্যাক্তিই বসবে।
তাই এক রকম ধারনা করা যাচ্ছে বিসিবি বস নাজমুল হোসেন পাপন সোরে দাড়ানোর তার জায়গাতে মাশরাফিই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আর যেহেতু কোনো বোর্ড পরিচালক এই দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না তাই মাশরাফিই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরবর্তি বিসিবি সভাপতি।