জিপিএ ৫ না পেয়েও সফলতার পথে হাঁটছেন, হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা–
প্রথমেই জানতে হবে সফলতা মানে কি?
সাফল্য হল প্রত্যাশার একটি নির্দিষ্ট পরিসর পূরণের অবস্থা বা শর্ত। এটি ব্যর্থতার বিপরীত হিসাবে দেখা যেতে পারে। সাফল্যের মানদণ্ড প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে, এবং এটি একটি নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষক বা বিশ্বাস ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
— এবার জেনে নেয়া যাক উদ্যোগতা মানে কি?
অর্থশাস্ত্রে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনও উদ্ভাবন বা প্রযুক্তিকে পণ্য ও সেবায় রূপান্তর করতে পারে, তাদেরকে উদ্যোক্তা বলে। এই দিক থেকে ব্যবসায় উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা বা নতুন ব্যবসা উভয়ের কর্মকাণ্ডকেই নির্দেশ করে।
উদ্যোক্তা হয়ে সফলতাকে অর্জন করে নিতে হয় নিজের চেষ্টায়। কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হয়।
এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে ভাঙ্গা গড়ার বিরাট ইতিহাস।
আজকের নিবন্ধে আলোচনা করবো ব্যর্থতার বিশাল পাহাড় পেড়িয়ে কীভাবে সফলতার জন্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এমন একজনের কথা। যিনি মাত্র ২০ বছর বয়সে উদ্যোগতা হয়েছেন। একটি ইউথ সম্মেলনে ১০ মিনিটের বক্তব্যের একটি অংশে তিনি বলেন, “” আমার পরিবারের ৫০ বছরের ইতিহাসে আমিই প্রথম উদ্যোগক্তা।
তিনি হলেন, জুবাইদ হোসেন জিয়ান
ক্বামারুন এগ্রো ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন দেশ ও তরুনদের জন্য কিছু করার। কিন্তু প্রথম দিকে কারো সমর্থন পাননি তিনি। তবে তিনি বলেন, প্রথম সমর্থন পেয়েছি আমার বাবা- মা ও আমার শিক্ষিকা তানজুমা মহিমা এবং আসমা বিনতি হাফিজ ম্যাডামের এর কাছ থেকে।
অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস অটুট রেখে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বার বার প্রত্যাখানের শিকার হয়েছেন তিনি। এর আগে ৪ টি বিজনেস আইডিয়াতে বিফল হয়েছেন। এস.এস.সি তে ৩.৯৪ এবং এইচ.এস.সি তে ৪.৪১ পেয়েছিলেন তিনি। জিপিএ ৫ না পাওয়ায় অনেকেই ছোট চোখে তাকে দেখতেন।
তারপরেও থেমে যায়নি, পুনরায় নব উদ্যমে কাজ করে গেছেন বলেই জানিয়েছেন জুবাইদ হোসেন জিয়ান। এরপর থেকে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন আপন গতিতে। অবদান রাখতে চান জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে।
নিজের উদ্যোগে করেছেন একটি ইউথ সম্মেলন। ইতিমধ্যে ২য় সম্মেলন আয়োজন ঘোষনা দিয়েছেন তিনি।
জুবাইদ হোসেন জিয়ানের বাবা-মা বলেন, “” আমরা গর্বিত আমাদের সন্তান নিয়ে, আমরা চাই সে নিজের জন্য নয় বরং দেশ এবং সারা বিশ্বের নিপিড়ীত মানুষের হয়ে কাজ করবে। “”