একটা সময় ছিল বাংলাদেশ দল থেকে কে কখন বাদ পড়বে বা কে কখন দলে আসবে বলা মুশকিল। অনেক সময় দেখা যেতো কোনো জায়গাতে কোনো পারফরমেন্স না করে দলে সুযোগ পেয়ে যেতো। আবার দিনের পর দিন ভালো খেলেও বাদ পড়তো অনেক ক্রিকেটার। যেমন ইমরুল কায়েসের কথা বলতে পারেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুই সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ রান করে পরের সিরিজে ভারতের বিপক্ষে খারাপ করাই তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়। সে আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেনি।
আবার নাঈম ইসলাম পর দুই সিজন ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেই সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলে। বিজয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। তবে বর্তমানে দলে সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। যদিও ম্যাচ পাচ্ছেন না নিয়মিত। আবার সাব্বির কোনো জায়গাতে কোনো পারফরমেন্স না করে তাকে দলে নিয়ে আসা হয়েছিল।
আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মুশফিককে বিশ্রামের নামে বাদ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তি অভিমানে টি-টোয়েন্টি অবসর নিয়ে নেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ক্ষেত্রেও ঘটে একই ঘটনা। তাকেই বিশ্রামের নামে বাদ দেয়া হয় দল থেকে। তবে দারুন ভাবে ফিরে এসে সবাইকে উচিত জবাব দিতে পেরেছেন। এমন আরও অনেক ঘটনা আছে বিগত নির্বাচক প্যানেলের। কাকে কেন বাদ হচ্ছে বা কেন দলে নেয়া হচ্ছে দিতে পারেননি তার কোনো সাঠিক ব্যাখ্যা।
তবে বর্তমান নির্বাচক প্যানেল ভিন্ন রকম। তাদের পরিষ্কার কথা পারফরমেন্স করলে দলে থাকবে না হলে বাদ পড়বে। কে কেনো দল থেকে বাদ এখন জানবে সবাই!মোনালিসা-কাটার মাস্টার নাম নয় পারফর্ম্যান্সই শেষ কথা! এই মন্ত্রে এগচ্ছেন বর্তমান নির্বাচক প্যানেল। তাছাড়াও তারা সব সময় চাচ্ছেন একটা ব্যালেন্স দল বানাতে।
লিটনের পরিবর্তে জাকেরকে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজি আশরাফ জানান, দলে যথেস্ট পরিমান ওপেনার আছে তাই আমরা আর ওপেনার নিয়ে একজন মিডল অর্ডার ব্যাটার নিয়েছে যাতে দলে একটা ব্যালেন্স অবস্থা বিরাজ করে। আবার তিনি জনান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যদি খেলা চলাকালীন ইনজুরিতে পড়ে তাহলে কনকাশন হিসেবে খেলতে পারবেন জাকের আলি অনিক।