;
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

ব্যাপক সং*ঘ*র্ষ, ভা*ঙ*চু*র ও লু*টপা*ট, ৩৫ বাড়িতে আগুন, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

পাবনার ইশ্বরদী এলাকায় আওয়ামী লীগ (এল) এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে নির্বাচনী বিরোধ এবং জমি দখলের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা তারিকুল ইসলাম শেখ (২৬) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী দলের কর্মীরা আক্রমণ করলে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। প্রতিশোধ হিসেবে, তারিকুলের পরিবারসহ বিএনপি সমর্থকরা আওয়ামী লীগ সদস্যদের অন্তত ৩৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।

এ ঘটনা ইশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীপুর ও কুমারপুর এলাকার কাছাকাছি অবস্থিত সাহাপুর ইউনিয়নে ঘটে, যা "ছয় খুন" মামলার জন্যও পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে তারিকুল তলাবাড়ি এলাকায় সরকারি খাস জমি পরিদর্শনে গেলে, সেখানে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এলোপাথারি হামলা চালান। এই হামলায় তার legs গুরুতরভাবে জখম হয় এবং তিনি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি এই হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা তার মতে হামলার সঙ্গে জড়িত।

এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ৩৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে, আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা যেমন আসাদুল ইসলাম, আকুবার প্রাং, মমিন প্রামাণিক, আলামিন প্রামাণিকসহ আরও কয়েকজনের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। বিএনপি নেতাদের দাবি, এই হামলা ও জমি নিয়ে বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাটি ইশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং সম্প্রতি সরকারী খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে আঞ্চলিক রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চার মাদিরা, দিগরি চর ও তলাবাড়ি চর এলাকায় জমি নিয়ে উভয় দলের মধ্যে বিরোধ চলমান রয়েছে। এই এলাকাগুলোতে জমি দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়।

বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন যে, এই হামলার মূল কারিগর হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা দায়ী, যারা রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করছেন যে, তাদের দলের সদস্যদেরই বিএনপি আক্রমণ করছে এবং এই সংঘর্ষের পেছনে বিএনপির সাইফুল ইসলাম প্রামাণিকের নেতৃত্বাধীন এক পক্ষের ভূমিকা রয়েছে, যারা জমি দখলের কারণে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বিরোধে জড়িত।

এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী প্রথমে নিরাপত্তা সংকটের কারণে তত্পর হতে পারেনি। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশ বাহিনীকে ফিরে যেতে হয়। পরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত, এবং অনেকেই তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির কারণে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

ইশ্বরদীর এই পরিস্থিতি এখনো চলমান রয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম

ঠিকানা: ৫২/৬, র‍্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

info@allnewsbd24.com

allnewsbd24.info@gmail.com

© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪