অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

তিন মাস আগে, বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটের হার মেনে নিয়েছিল। সেই পরাজয়ের স্মৃতি আবারো জেগে উঠলো যখন ক্যারিবিয়ান নারী দল সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একই রকম পরাজয়ের শিকার করলো। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যে নিজেদের স্বপ্নের সিঁড়ি হারিয়ে ফেলেছিল, এবং আবারো ক্যারিবিয়ান নারী দল বাংলাদেশের জন্য খুবই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ প্রমাণিত হলো।

প্রথম টি-২০ ম্যাচে, বাংলাদেশ ১৪৪ রানের লক্ষ্য দেয়, কিন্তু সহজেই সেটি টপকিয়ে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে অভিজ্ঞ ব্যাটার ডিয়ান্দ্রা ডটিন দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করেন, যিনি ম্যাচটি নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসেন।

নিগারের অর্ধশতক: শক্তিশালী শুরু প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৪ রান করে, যার বড় অংশই আসে অধিনায়ক নigar সুলতানা জোটির দুর্দান্ত অর্ধশতক থেকে। জোটি ৪৭ বল খেলে ৫৩ রান করেন, যাতে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা ছিল। তার সাথে শামীমা আক্তার ৪১ বল খেলে ৩৭ রান করেন, এবং তারা তৃতীয় উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন।

তবে, তারা ভালো একটি পার্টনারশিপ তৈরি করলেও, পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে, যার কারণে তারা আরও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে আফি ফ্লেচারের বোলিংয়ে বাংলাদেশ বেশ চাপে পড়ে এবং ফ্লেচার দুটি উইকেট তুলে নেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শুরু হয় দ্রুতগতিতে। ওপেনার কিশোনা নাইট এবং অধিনায়ক হেইলি ম্যাটিউস মাত্র ৮.৩ ওভারে ৬৩ রান যোগ করেন। নাইট ২১ বল খেলে ২৯ রান করেন, আর ম্যাটিউস ৫৪ বল খেলে অপরাজিত ৬০ রান করেন।

বাংলাদেশের লেগস্পিনার ফাহিমা খাতুন নাইট এবং ক্যাম্পবেলকে দ্রুত ফিরিয়ে কিছু আশা তৈরি করেন, তবে ডিয়ান্দ্রা ডটিনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ডটিন ২২ বল খেলে ৫১ রান করেন, যেখানে ৭টি ছক্কা মারেন, এবং ১৭ তম ওভারের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে ডটিন টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত ৫০ রান করা প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান নারী ক্রিকেটার হন, মাত্র ২১ বলেই এটি করেন।

বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এই পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লো। সিরিজে টিকে থাকার জন্য তারা দ্বিতীয় ম্যাচটি জিততে হবে, যা আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম ম্যাচে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর, বাংলাদেশকে নিজেদের ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে যাতে তারা সিরিজে ফিরে আসতে পারে। তবে, কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, দৃঢ় পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা আবারও জয়ের পথে ফিরতে পারে।