নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলার প্রতিবাদে এবং আইসিটি ট্রাইব্যুনালে কথিত "প্রহসনের বিচার" বন্ধের দাবিতে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিবৃতি ও প্রেক্ষাপট

ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগ দাবি করে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ হুমকির মুখে। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, "মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী বাংলাদেশ আজ ক্ষত-বিক্ষত। অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখলকারীরা—ইউনুস ও তার সহযোগীরা—ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে স্বাধীনতাকে হুমকিতে ফেলেছে, যা ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। আজ প্রতিশোধের আগুনে পুড়ছে দেশ। দেশকে রক্ষা করতে চরমপন্থীদের পৃষ্ঠপোষকদের সরাতে হবে।"

পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয় যে দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিপন্ন। এতে বলা হয়, "গণতন্ত্র নির্বাসিত, মানবাধিকার লঙ্ঘিত, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব, এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ত্যাগ করা হয়েছে।"

গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং কথিত অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যে কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করেছে তা নিম্নরূপ:

• ১-৫ ফেব্রুয়ারি: লিফলেট বিতরণ।
• ৬ ফেব্রুয়ারি: প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল।
• ১০ ফেব্রুয়ারি: বিক্ষোভ কর্মসূচি।
• ১৬ ফেব্রুয়ারি: দেশব্যাপী অবরোধ।
• ১৮ ফেব্রুয়ারি: সকাল-সন্ধ্যা দেশব্যাপী হরতাল।

কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

পোস্টে আরও সতর্ক করে বলা হয়েছে, "এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে কোনো বাধা সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। জনগণের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য এসব পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

আওয়ামী লীগের এই নতুন কর্মসূচি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দলটির গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের প্রতি দৃঢ় অবস্থান বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।