প্রকাশিত: ০৭:২৬ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা: ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বিএনপিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে নতুন এক ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবদুস সাত্তার, যিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন, সম্প্রতি বিএনপি-তে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের দলের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন, এবং তার সম্পর্ক ছিল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে, এমনকি কাদের মির্জা-এর হেলমেট বাহিনীও তার পরিচিত ছিল।
তবে, এই নতুন রাজনৈতিক পদক্ষেপটি দ্রুত বিএনপি-র মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। সাত্তারের সাথে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সম্পর্কের কারণে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এবং জেলা বিএনপির সদ্য নির্বাচিত সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ-এর নাম এই পরিস্থিতিতে উঠে এসেছে, এবং তাদের মধ্যে এক অস্বস্তিকর নীরবতা সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও তার সঙ্গে সাত্তারের সম্পর্কের কারণে, স্থানীয় নেতারা একে নিয়ে চিন্তিত। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, এমন একজন নেতা, যিনি দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন দলের সাথে যুক্ত ছিলেন, কীভাবে এখন বিরোধী দলে যোগ দেবেন? এই নিয়ে নানা রকম আলোচনা চললেও, সাত্তার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা দাবি করেছেন। তিনি জানান, আওয়ামী লীগে থাকা অথবা বিএনপি-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত ছিল, এবং তিনি ছাত্রদল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবন গড়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছু নেতার প্রভাবের কারণে সাত্তারের বিএনপিতে আসার চেষ্টা হয়েছিল, তবে তার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেছেন, সাত্তারের রাজনৈতিক যাত্রা স্থানীয় মিটিংগুলো থেকে দূরে রাখা হয়েছিল, এমনকি তাকে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল। এসব ঘটনায় কিছু নেতাকর্মী বিরক্ত এবং অস্বস্তিতে পড়েছেন।
এদিকে, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ এই ঘটনায় আরও বিস্তৃত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, সাত্তার যদি বিএনপিতে যোগ দিতে চান, তবে সবার আগে উচিত ছিল তাদের মধ্যে সুরাহা হওয়া। তার মতে, সাত্তার ঢাকায় এসে একটি ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াত নিয়ে ছবি তুলেছিলেন, কিন্তু সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার ঝড় সৃষ্টি করেছে। আবেদ জানান, যদি তৃণমূল নেতাদের মনোভাব ও সাত্তারের উপস্থিতি আগে সঠিকভাবে মীমাংসা করা হতো, তাহলে পরিস্থিতি এমন জটিল হয়ে উঠত না।
এই ঘটনাটি এখন কোম্পানীগঞ্জ রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, এবং সাত্তারকে নিয়ে একাধিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বিএনপির ভেতরে এই বিষয়টি আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে, এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮
© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪