প্রকাশিত: ১০:৪১ ৩ জানুয়ারি ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ: নতুন করে যেসব সিদ্ধান্ত নিলো সরকার
অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্তগুলো মূলত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন সচিবালয়, দুর্নীতি দমন, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তগুলো গত ২৯ ডিসেম্বর রবিবার এক বৈঠকে গৃহীত হয়েছে।
সচিবালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
১. সচিবালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে, যেখানে শুধুমাত্র নির্ধারিত পুলিশ এবং স্টাফরা রাত্রীযাপন করতে পারবেন। ২. সচিবালয় কর্মচারী ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ৩. সাংবাদিকদের জন্য থাকবে প্রবেশ পাস, তবে এ পাস শুধুমাত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সুপারিশকৃত সাংবাদিকদের জন্য প্রদান করা হবে। ফ্যাসিস্ট সমর্থক কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পাস দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ৪. সচিবালয়ের বাহিরের গাড়িগুলোর জন্য স্টিকার নিষিদ্ধ করা হবে এবং সব গাড়ি পরীক্ষা করা হবে। অনধিকার প্রবেশকারীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ৫. সচিবালয়ের কাছাকাছি যথেষ্ট পার্কিং স্পেস তৈরি করতে হবে এবং সচিবালয়ের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ৬. অপ্রয়োজনীয় ছাদ এবং ফুটওভারব্রিজগুলি সরিয়ে ফেলা হবে যাতে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির প্রবেশ সহজ হয়। সব ঝুলন্ত তারও সরিয়ে ফেলা হবে। ৭. সরকারি অফিসের মধ্যে অতিরিক্ত সজ্জা এড়িয়ে চলতে হবে। ৮. সচিবালয়ের মধ্যে পরিত্যক্ত গাড়ি সরিয়ে ফেলা হবে। ৯. সচিবালয়ে ২৪/৭ নিরাপত্তা কর্মী নিযুক্ত থাকবে এবং তাদের কাজের সময়সূচী নির্ধারণ করা হবে। ১০. সচিবালয়ের ক্যানটিনে কর্মরত স্টাফদের বিকেল ৪টার মধ্যে চলে যেতে হবে এবং ক্যানটিন বন্ধ করে দেয়া হবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধ ও অপরাধ নির্মূলের উদ্যোগ:
১১. দুর্নীতি এবং অসদাচরণে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা এবং সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, বিশেষভাবে ফ্যাসিস্ট সমর্থকদের বিরুদ্ধে বাড়তি নজর রাখা হবে। ১২. সন্ত্রাসী এবং অপরাধীদের ধরতে দেশের নানা স্থানে অভিযান চালানো হবে এবং তাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হবে। ১৩. ভারতীয় শাড়ি এবং কাপড় চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং ভারতীয় সীমান্তে সন্দেহজনক লাগেজ পরীক্ষা করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১৪. গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিজিবিকে তথ্য প্রদান করবে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও বিজিবির কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। ১৫. সীমান্তে আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের (ভিডিপি) সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে এবং স্থানীয় জনগণকে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করা হবে। সীমান্ত পুলিশ স্টেশনে যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হবে। ১৬. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি প্রতিরোধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যান্য সিদ্ধান্ত:
১৭. ভিআইপি/ভিভিআইপি প্রোটোকলে সাশ্রয়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৮. জেলা ও উপজেলা স্তরে সার ও খাদ্য ডিলারদের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করা হবে। ১৯. পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা রিপোর্টগুলো সারসংক্ষেপ আকারে পাঠানো হবে। ২০. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে প্রয়োজনীয় গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে কাজ করবে। ২১. বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এ প্রতিভাবান এবং পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের নিয়োগের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের নিরাপত্তা এবং চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে কার্যকর ও সতর্কতার সাথে কার্যকর করা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮
© ২০২৫ | অল নিউজ বিডি ২৪ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ডিজাইন | অল নিউজ বিডি ২৪