চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ধানুশ ও তার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তের ১৮ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন শেষ হয়ে গেছে। ২০২২ সালের শুরুর দিকে তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা আসার পর, বহু চেষ্টা সত্ত্বেও সম্পর্কের মধ্যে পুনঃসামঞ্জস্য তৈরি করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে, আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আলাদা হয়ে গেলেন।
ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচ্ছেদের ঘোষণার পর ধানুশ এবং ঐশ্বরিয়া দুজনেই পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। তিনটি শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আদালত তাদের একত্রিত হতে এবং সম্পর্ক পুনর্স্থাপনের পরামর্শ দেয়, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সম্পর্কের অবনতির কারণে আদালত ২৭ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করে।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে, ধানুশ নিজের এক টুইটবার্তায় বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, "১৮ বছর একসাথে থাকার পর, আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া ও আমি দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পথের এই পরিবর্তন এক গভীর পর্যালোচনা এবং বোঝাপড়ার ফল।"
অন্যদিকে, ঐশ্বরিয়া রজনীকান্তও একই বিবৃতি প্রকাশ করেন, যা তাদের উভয়ের বিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়।
এ দম্পতি ২০০৪ সালে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই সন্তান, যাত্রা ও লিঙ্গা, বর্তমানে বেড়ে উঠছে। ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত, তামিল সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্তের বড় মেয়ে। তাদের সম্পর্কের শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা ছিল এবং ধানুশ ঐশ্বরিয়ার পরিচালনায় 'থ্রি' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। সেই সিনেমার ‘কলাভেরি ডি’ গানটি রাতারাতি সুপারহিট হয়ে ওঠে, যা তাদের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তুলেছিল।
তবে, এই বিচ্ছেদ নতুন কিছু নয়, কারণ একে অপরের মধ্যে মতবিরোধ এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন অনেক দিন ধরেই চলছিল। আদালতের তরফ থেকে বহুবার তাদের সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলেও, এখন তা কার্যকর হয়নি।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ১৮ বছর পর এমন একটি সম্পর্কের বিচ্ছেদ কিভাবে তাদের পরবর্তী জীবনকে প্রভাবিত করবে, এবং দুটি সন্তান কীভাবে তাদের এই নতুন জীবনে মানিয়ে নেবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮