ওমানে ভিসানীতির পরিবর্তন: বিপদে বাংলাদেশি-ভারতীয় শ্রমিক

ওমানে কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় পরিবর্তনের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশটির কঠোর ভিসানীতির কারণে প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা কমছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব বেশি পড়েছে। ওমানের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ (NCSI)-এর সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, দেশটিতে বর্তমানে ৬ লাখ ৩৭ হাজার ১৫২ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ কম।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও শ্রীলঙ্কার শ্রমিকদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। যদিও বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মীরা এখনও দেশটির শ্রমশক্তির বড় অংশ, দুই দেশ মিলিয়ে ওমানে ১১ লাখের বেশি শ্রমিক রয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তানি শ্রমিকদের সংখ্যা গত এক বছরে ১০ শতাংশ বেড়েছে, যা এক নতুন ধারা তৈরি করছে। তবে, সম্প্রতি ওমান সরকার পাকিস্তানি শ্রমিকদের জন্যও ভিসা নীতিতে কঠোরতা এনেছে, ফলে এই বৃদ্ধির ধারা কতদিন বজায় থাকবে তা অনিশ্চিত।

একটি চমকপ্রদ পরিবর্তন ঘটেছে মায়ানমারের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে। ২০২৩ সালের তুলনায় দেশটি থেকে কর্মী আগমনের হার ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এটি ওমানে তৃতীয় বৃহত্তম বিদেশি শ্রমিক গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে, যা শ্রমবাজারের ঐতিহ্যবাহী কাঠামো বদলে দিতে পারে।

মিশর, সুদান ও তানজানিয়া থেকে ওমানে শ্রমিক আসার হার বাড়ছে। এসব দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, ওমান তার শ্রমশক্তির উৎস বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে।

ওমান সরকার তার "ভিশন ২০৪০" কর্মসূচির অধীনে স্থানীয় নাগরিকদের জন্য চাকরির সুযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। ফলে বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বর্তমানে ওমানে ১৮ লাখ ৮ হাজার ৯৪০ জন বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। তবে কড়াকড়ি নীতির কারণে এই সংখ্যা আরও কমতে পারে, যা শ্রমবাজারে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে।