এইমাত্র পাওয়া: চলছে কঠিন সং*ঘর্ষ, ভাঙ*চুর, লু*ট*পাট ও অ*গ্নি*সংযোগ,ব্যাপক পু*লিশ মোতায়েন

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছি গ্রামে ধর্মীয় ফতোয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, সংঘর্ষ চলাকালে ৩০টিরও বেশি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ঘটনার পটভূমি

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, সাতগাছি গ্রামের কাশিম মোল্লার বাড়িতে তার ছেলের খতনা অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশিত হয়। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম হাকিম মোল্লা শুক্রবারের জুমার খুতবার সময় ঘোষণা দেন যে, ইসলামে সংগীত হারাম। ফতোয়া ঘোষণার সময় মসজিদের মুয়াজ্জিন ও কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফতোয়া ঘোষণার সময় কাশিম মোল্লা এর বিরোধিতা করলে মসজিদের ভেতরেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাতের বেলায় কাশিম মোল্লা ও হাকিম মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে sporadic সংঘর্ষ শুরু হয়, যা শনিবার ভোরে ভয়াবহ রূপ নেয়।

সংঘর্ষ ও সহিংসতা

শনিবার সকালে সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়। দুই পক্ষ লাঠি, দা, ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এসময় ৩০টিরও বেশি বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন, যার ফলে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।

পুলিশের হস্তক্ষেপ ও বর্তমান পরিস্থিতি

ঘটনার বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান,

“অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

স্থানীয়দের ওপর প্রভাব

এই সংঘর্ষে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্থানীয় প্রশাসন দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

শান্তি ও সমঝোতার আহ্বান

এ ঘটনা সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই ধরণের সহিংস সংঘাত প্রতিরোধে সমাজের সবার সহযোগিতা ও সচেতনতা অপরিহার্য।