হবিগঞ্জে সং ঘ র্ষে আ হ ত ৫০ জন, উ ত্তে জ না অব্যাহত; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

হবিগঞ্জ জেলার আযমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে একাধিক সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন, পুরুষ ও মহিলাসহ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সংঘর্ষের সূত্রপাত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায়, এবং পরবর্তীতে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমভাগ গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি অঞ্চলের ক্ষমতা নিয়ে বিরোধ চলছিল, যা ছিল অলী মিয়া (তাইয়েব আলী’র পুত্র) এবং ধনু মিয়া (বুच्छা মিয়ার পুত্র)-এর মধ্যে।

এ পরিস্থিতি শুক্রবার দুপুরে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন রনি মিয়া (ধনু মিয়ার পুত্র) ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিওতে খালিল মিয়া (তাইয়েব আলীর পুত্র)-কে নিয়ে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। এর ফলে গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং রাতের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়, যেখানে হোমমেড অস্ত্র ব্যবহৃত হয়।

শনিবার সকালেও সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে, ফলে আরও অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে শানু মিয়া (৪০), ধনু মিয়া (৫২), মুঈত মিয়া (৬০), এবং রেণু মিয়া (৪২) রয়েছেন। তাদেরকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকিদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ আউটপোস্টের অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি নিশ্চিত করেন, "ফেসবুকের লাইভ ভিডিওটি সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি এবং এখন পরিস্থিতি শান্ত। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

পশ্চিমভাগ গ্রামের স্থানীয়রা ঘটনার পর উত্তেজিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য ও সহিংসতার জন্য অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকাবাসী ভীত ও আতঙ্কিত। পুলিশ নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সহিংসতা রোধে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর দাবি তুলেছে স্থানীয়রা।