নতুন করে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল সাজাচ্ছি বিসিবি। তার ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারিতে ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। নতুন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প শ্রীলঙ্কার সিরিজে তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজিমাত করেছে বাংলাদেশে ব্যাটাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৬ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। এই দিন শান্ত’র সেঞ্চুরির পাশাপাশি দারুন ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক।
মুশফিক ৭৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছেন। মুশফিকের ইনিংসটি সম্পর্কে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হেম্প বলেন, ‘মুশফিকের ইনিংস আউটস্ট্যান্ডিং। সে মোটেও বিচলিত হয়নি। রিয়াদ বাউন্ডারিতে রান বের করছিল, মুশফিক সেটাকে নিজের মতো খেলে অব্যাহত রেখেছে। সে প্রমাণ করেছে রান করা মানেই শুধু বাউন্ডারি নয়, সিঙ্গেল রোটেশন করেও রান বের করা যায়। পুরো ইনিংসজুড়েই সে দারুণ খেলেছে।’
এইদিন মুশফিকের সাথে দুর্দান্ত জুটি গড়ে ১২২ রানের আপরাজিত ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত’র ইনিংস সম্পর্কে ব্যাটিং কোচ বলেন ‘১৬৫ রানের পার্টনারশিপ আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে, শান্ত ও মুশফিক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছে দেখে খুব ভালো লাগল। ক্যাপ্টেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছে। খেলোয়াড় হিসেবে তো বটেই, অধিনায়ক হিসেবেও এমন ইনিংস মুগ্ধকর। ব্যাটাররা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলছে। আমিও ওদের বলেছি, নিজেদের শক্তির জায়গা বুঝে খেলো।’
এই দিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ৩৭ রানের মুল্যবান একটা ইনিংস উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ। তার সেই ইনিংসটির প্রশংসা করতে ভুলেননি তিনি। তিনি বলেন,‘বল সুইং করছিল। লঙ্কানরা বল করছিল স্টাম্প লক্ষ্য করে। রিয়াদ খুব বুঝেশুনে খেলছিল। তার এপ্রোচ শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে দেয়। শান্ত’র সঙ্গে তার ৬৯ রানের পার্টনারশিপই ম্যাচের গতিপথ গড়ে দিয়েছে। তার এপ্রোচই শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে আমাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে।’