মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০১ জনকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম থেকে টেকনাফে স্থানান্তর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের জেরে দেশটির জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ অন্যান্য বাহিনীর ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বান্দরবানের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেতা বিজিপি সদস্যদের বৃহস্পতিবার বিকেলে টেকনাফের হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফ ২ বিজিবির আওতাধীন ১৬৭ জন বিজিপি সদস্যকে হ্নীলায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর আগে বুধবার ৬৬ বিজিপি সদস্যকে এখানে নিয়ে আসা হয়।
অলনিউজবিডি২৪ এর খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে তিনটি স্থাপনার বিজিপি ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ৩২৮ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ও উখিয়ায় পালিয়ে আসেন। পরে আরও দুজন পালিয়ে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩০ জনে। এর মধ্যে ঘুমধুমে ২২৮ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের খাওয়া ও চিকিৎসাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির। তিনি বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) আরও দু’জন বিজিপি সদস্য টেকনাফে ঢোকে পড়েছেন। এ পর্যন্ত ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে দ্রুতই নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর তৎপরতা চলমান।’