বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলছে পালা বদলের হাওয়া। তবে সেইটা কোচদের। একের পর এক কোচকে ছেড়ে দিচ্ছে বিসিবি। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম ছিল বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যানাল ডোনাল্ড। তিনি নিজেই বিসিবি না করে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি আর থাকবো না। আমার সঙ্গে চুক্তি আর বাড়ানোর দরকার নেই। আমি আর কাজ করবো না।’
আবার বাংলাদেশের কন্ডিশনিং কোচ নিক লিও চুক্তি বাড়াতে চান না। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলার সময় এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। থাকছেন না কম্পিউটার ও ভিডিও অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসনও। হেরাথের সাথেই চুক্তি শেষ বিসিবির।
তবে জানা গেছে হেরাথকে চায় বিসিবি। তার সাথে কথা বার্তা চলছে বিসিবির। সে কারণেই স্পিন কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এদিকে আবার চুক্তি না বাড়ানোর তালিকা আরও বড় করলো ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডরমট। তাকেই আর রাখতে চায় না বিসিবি। তার সাথে আর চুক্তি বাড়াচ্ছে না। বিসিবি জানিয়ে দিয়েছে ম্যাকডরমটকে।
বর্তমানে দুজন থাকছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুধু দুজন কোচ থাকার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে। বিসিবির ভাষ্যমতে, প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর তার সহকারি নিক পোথাসই শুধু থাকবেন। তাদে সঙ্গে চুক্তি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত।
বলে রাখা ভালো প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে ও সহকারী কোচ নিক পোথাস ছাড়া বাকি সব কোচিং স্টাফের সাথেই বিসিবির চুক্তির মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে।
তবে এই দিকে আবার জানা গেছে নিক পোথাস আর জাতীয় দলের প্রধান সহকারি কোচ থাকছেন না। তাকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এইটা আরও বেশি পরিস্কার হয়ে গেছে বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে। বিসিবির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পেস বোলিং কোচ, হেলথ এন্ড কন্ডিশনিং কো ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু সহকারী কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়নি।