পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া: শেষ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ
পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া: চলছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সিরিজের দুটি ম্যাচ। দুই জিতে সিরিজে ২-০তে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। জিতে নিয়েছে সিরিজ। আজ শেষ টেস্ট ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার মিশনে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান।
আজ ৩ জানুয়ারী বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় মাঠে নেমেছে দুই দল। টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছে পাকিস্তান। ধারাবাহিক হারাচ্ছে উইকেট।
শুরুতেই চার উইকেট চলে গেছে সফরকারী পাকিস্তানের। শেষ টেস্টে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টার্কের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ ০ রানে সাজ ঘরে ফেরেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক।
এদিকে আরেক ওপেনার নিজের অভিষেক ম্যাচে সবাইকে হতাশ করেছেন। হ্যাজলউডের বলে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ০ রানে সাজ ঘরের পথ ধরেন সাঈম আইয়ুব।
তবে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। তবে তিনিও বেশি কিছু করতে পারেননি। ৪০ বলে ২৬ রান করে কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে তিনিও সাজ ঘরের পথ ধরেন। গত বছর থেকেই নিজের চেনা রুপে ফিরতে পারছেন না তিনি।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন সৌদ শাকিল। ১২ বলে ৫ করেন তিনি। কামিন্সের বলে ক্যারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার। তবে দলে হাল ধরেন অধিনায়ক শান মাসুদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। অধিনায়ক শান মাসুদ ৩৫ রান করে মার্সের বলে স্মিথ হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১০৩ বলে ৮৮ রান করে ক্যামিন্সের বলে হ্যাজলউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। এরপর সালমান ফিফটি করে আর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫৩ রান করে স্টার্কের বলে হেডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
২২৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে যখন ধুকতে থাকে পাকিস্তান তখন ত্রাতা হয়ে আসে আমির জামাল। একাই দলকে টেনে তুলেন। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলী স্কোর ৩০০ পার করান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি মিস করেন। তবে ৯৭ বলে ৮৩ রান করে দলকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রানে অল-আউট হয়েছে পাকিস্তান। ৭ রানে অপরাজিত থেকে গেছেন মির হামজা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ ওভারে ৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এর পর শেষ হয়ে যায় প্রথম দিনের খেলা। ব্যাটিংয়ে আছেন ওয়ার্নার ৬ রানে ও উসমান খাওয়াজা ০ রানে।