চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। আজ শেষ হয়েছে তৃতীয় দিনের খেলা। তৃতীয় দিন শেষে হারের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। আর এর মুল বাংলাদেশের ব্যাটিং এ্যাপ্রোচ। ৫১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষ ভাগে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেট কিভাবে খেলতে তা জেনে ভুলে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
যেখানে একই পিচে দুর্দান্ত ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হচ্ছেন শূন্য রানে আউট বড়ই দু:খজনক। করতে হবে ৫১১ রান বাকি আছে ৬ সেশন। খুব কি আহামরী ছিল টার্গেট। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মত ধর্য্য ধরে ব্যাট করলেই তো হতো। তা না করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা করলো উল্টো। তাদের ব্যাটিং ধরন দেখে মনে হয়েছে ব্যাটে লাগলে লাগবে না লাগলে ডেন্ট কেয়ার।
শান্ত যে বলে আউট হয় সেই বলটা ছিল অনেক বাইরের। সেই সময় বাংলাদেশ একটা উইকেট হারিয়ে বসে আছে আর নাজমুল হোসেন শান্ত এসে বাইরের বল মেরে আউট হয়ে গেলেন। এইটাকে টেস্ট খেলা বলে। আবার জয়ের কথা বলি ১২ ইনিংসে ৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। এই দিকে লিটন দাস তার যেন শূন্য রান না করলে হয় না।
গত পাঁচ ইনিংসে তার ৩ টা শূন্য রানের ইনিংস। আজকেই দেখেন না আগের বলে উইকেট পড়েছে আর লিটন এসে স্টাম্প ছেড়ে বের হয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন। তাও আবার প্রথম বলেই। এই যেন ডোন্ট কেয়ার ভাব। আমি শূন্য মেরেছি তাতে কি হয়েছে আমিতো আমিই। জাতীয় দল যেন হয়ে গেছে তামাশা মশকরা করার একটা জায়গা। আর আজকে তামাশা মশকরাকেই ছাড়িয়ে গেলেন লিটন দাস। এলেন দেখলেন জিরো মারলেন।
বিসিবি ক্রিকেটার টেস্টের ম্যাচ ফি বাড়ানোর কথা ভাবছে। একটা ক্রিকেটার একটা টেস্ট ম্যাচ খেললে ৮ লাখ টাকা পায়। এখন মনে হচ্ছে তার ভাব হয়ে গেছে ০ রান করলেই ৮ লাখ পাবো সেঞ্চুরি করলেই ৮ লাখ পাবো। ক্রিজে বেশিক্ষণ থেকে কষ্ট করার কি দরকার। কেননা এই একই পিচে শ্রীলঙ্কার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন(১০২ রান)। আবার দ্বিতীয় ইনিংসে তারা দুজন আবার তুলে নেন সেঞ্চুরি। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ১০৮ রান ও কামিন্দু মেন্ডিস করেন ১০৮ রান। শুধু তারাই নয় বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল প্রথম ইনিংসে ৪৭ রান করেছেন। তাহলে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা কেন ব্যার্থ।