উইকেট বুঝতে ভুল করেছে বাংলাদেশ সরল স্বীকারোক্তি হাথুরুর
শেষ হয়েছে বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ১-১ সমতায় শেষ হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ জেতার খুব কাছে সিরিজ হাত ছাড়া করেছে বাংলাদেশ। অনেকেই মনে করছেন আজ মাউন্ট মুঙ্গাইনুতে টস হারই ছিল বাংলাদেশের হারার অন্যতম কারণ। টসে জিতলে অবশ্যই বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন। এবং প্রথম টি-টোয়েন্টির মত ১৩০ বা তার আশপাশে আটকে রাখতে পারতো বাংলাদেশ।
কিন্তু এই দিন টস ভগ্য ছিল না বাংলাদেশের। আর ভক্ত সমর্থকদের মনে এই চিন্তা আসার অন্যতম কারণ হলো নেপিয়ারের প্রথম ম্যাচ। যেখানে টস জিতে ফিল্ডিং করে নিউজিল্যান্ডকে ১৩০ রানে আটকে ৮ বলে হাতে ৫ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা। ঠিক তেমনটাই চেয়েছিলেন ভক্ত সমর্থকরা।
কিন্তু টস জয় পায় নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে আগে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশকে। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মেরে খেলার চেষ্টা করে টাইগার ব্যাটাররা।
সৌম্য সরকার, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামিম পাটোয়ারীরা ঠিক উইকেট বুঝে উঠতে পারেননি। এই পিচে কত রান করলো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা সেই ধারনাটা পরিষ্কার ছিল সৌম্য সরকারদের কাছে।
তাদের ব্যাটিং দেখে পরিষ্কার বোঝা গেছে তা। বাংলাদেশের স্পেশালিস্ট ব্যাটারদের ব্যাটিং ছিল এ্যাটাকিং। সবাই ব্যাট চালিয়ে খেলেছেন। যার ফলে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। লম্বা ইনিংস তো দুরের কথা সর্বোচ্চ ১৭ রান এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে।
টাইগাররা ব্যাটাররা শুরুতে যে মাউন্ট মুঙ্গানুয়ের পিচকে ১৬০ রানের বলে মনে করেছিলেন, খেলা শেষে আসল সত্য বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের প্রধান হেড কোচ হাথুরুসিংহের মুখ থেকেই। তিনি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে মুখ ফুটে বলে ফেলেছেন, ‘শুরুতে আমরা এটাকে ১৬০ রানের পিচ ভেবেছিলাম। কিন্তু আসলে এটা ছিল ১৪০ রানের উইকেট।’
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমার মনে হয় দুই ওভার পরই আলোচনা করছিলাম যে, এটা ১৬০ রানের উইকেট হবে না। এখানে ১৪০-১৫০ রান হবে। অবশ্য আমরা সেটাও করতে পারিনি।’
হাথুরু সব কিছু স্বীকার করে আরও বলেন, দলের ব্যাটিং ভালো হয়নি। তার ভাষায়, ‘ভালো ব্যাট করিনি আমরা। ১১০ রান এ উইকেটে কম স্কোর। ১০ ওভার শেষে ৪ আমাদের রান কম ছিল। কিন্তু বোলাররা আমাদের ম্যাচে রেখেছিল। পুরো সিরিজজুড়ে বোলাররা যেভাবে বল করেছে, তা রীতিমত মুগ্ধ হওয়ার মতো।’