মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড দিয়ে বিএনপি ও তার মিত্ররা কখনো মানুষের মন জয় করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, “অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটা জানা উচিত এবং সে অনুযায়ী কাজ করা উচিত।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, মানি লন্ডারিং এবং জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, “তারা ভোট দিতে চায় না কারণ তারা এটা ভালো করেই জানে যে, দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।” তিনি বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা
এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালো ভাবেই জানে এবং সে কারণেই তারা আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করে সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। তিনি বলেন, “সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দল বড় হয়েছে।
তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত করতে পারবে না,” বলেন তিনি।
তিনি অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনের নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। “এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়,”।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলার জন্য হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভোটাধিকার ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করেছে। জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং ১৯৭১ সালের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে আ’লীগের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখেন।