২০২৩ সাল ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছর। তাই সব দেশ বেশি ওয়ানডে ম্যাচকে গুরুত্ব দিয়েছিল। যে কারণে সদ্য শেষ হওয়া বছরে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্টিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ক্রিকেটারদের পারফর্মম্যান্স বিবেচনায় বর্ষ সেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে ‘ক্রিকেটের বাইবেল’ বলে খ্যাত প্রকাশনা ‘উইজডেন’।
উইজডেনের ঘোষিত বর্ষ সেরা একাদশে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল ভারতের ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়া থেকে মাত্র ২ জন আছেন এই একাদশে। সবচেয়ে অবাক করে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪টি সেঞ্চুরি হাঁকানো দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি কককে বাদ দিয়েছে উইজডেন।
উইজডেনের বর্ষ একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শার্মাকে। সদ্য শেষ হওয়া বছরে ২৭টি ওয়ানডে খেলে ৫২.২৯ গড়ে ১ হাজার ২৫৫ রান করেছে এই ব্যাটার। এছাড়া বিশ্বকাপে ভারতকে অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে তুলে রোহিত।
দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে রোহিতের সাথে রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভিস হেডকে। ২০২৩ সালে ১৩টি ওয়ানডে ম্যাচে ৫১.৮১ গড়ে মোট ৫৭০ রান করেছেন তিনি। হেডের কারণেই মুলত বিশ্বকাপে ফাইনালে হেরেছে ভারত। ফাইনাল ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।
উইজডেনের বর্ষ একাদশে তিন ব্যাটার হিসেবে পছন্দ করেছেন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট কোহলিকে। সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে ২৭টি ওয়ানডেতে ১ হাজার ৩৭৭ রান করেছেন এই ভারতীয় ব্যাটার। এর মধ্যে ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড থেকে সুযোগ পেয়েছেন একজন। ড্যারিল মিচেলকে বেছে নিয়েছে উইজডেন। ২০২৩ সালে ২৬টি ওয়ানডে খেলে ১ হাজার ২০৪ রান করেছেন তিনি। পাশাপাশি ৯টি উইকেটও আছে তার ঝুলিতে। আর উইকেট রক্ষক কোটায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিখ ক্লাসেন।
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও রাখা হয়েছে একাদশে উইজডেনের বর্ষ একাদশে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা ইনিংস খেলেছেন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে একাই জিতিয়েছেন এই আসি অলরাউন্ডার। সদ্য সমাপ্ত হওয়া বছরে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫১.৬২ গড়ে তিনি করেছেন ৪১৩ রান। বল হাতে শিকার করেছেন ১০টি উইকেট।
উইজডেনের বর্ষ একাদশে আছেন আরেক জন অলরাউন্ডার। অলরাউন্ডার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন ভারতের রবিন্দ্র জাদেজা। ২০২৩ সালে ২৬টি ওয়ানডে ম্যাচে ৩১টি উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার। তাছাড়া ৩০.৯০ গড়ে ৩০৯ রান করেছেন তিনি।
আর বোলিং কোটায় আছেন সব ভারতের ক্রিকেটার। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মোহাম্মদ শামি, তার সঙ্গে আছেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব ও পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।