বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে কোন দুটি দল মুখোমুখি হবে তা নির্ধারণের জন্য চলমান চারটি সিরিজের তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সাফল্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধারাবাহিকতা শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছে, তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ৮ উইকেটে হেরে নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে।
ভারতের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা
বাকি ম্যাচ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪টি টেস্ট (অ্যাওয়ে)।
সর্বোচ্চ পিসিটি: ৬৯.২৯%
ভারতের পন্থায় ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ৫-০, ৪-০, ৪-১, অথবা ৩-০ ব্যবধানে জয়ী হওয়া জরুরি। ৩-০ ব্যবধানে জিতলে তাদের পিসিটি হবে ৬২.২৮%, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে অন্য কারো পক্ষে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
তবে ভারত যদি ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায়, তাহলে তাদের পিসিটি হবে ৫৩.৫১%, এবং তাদের ফাইনালে উঠতে অন্য দলগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ
বাকি ম্যাচ: ভারতের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট (হোম), শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২টি টেস্ট (অ্যাওয়ে)।
সর্বোচ্চ পিসিটি: ৭১.০৫%
পার্থে হারের পরও অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ পুরোপুরি তাদের নিজেদের হাতে। পাঁচটি ম্যাচ জিতলে (পিসিটি ৬৫.৭৯%) বা চারটি জয় ও একটি ড্র (পিসিটি ৬২.২৮%) তাদের জন্য যথেষ্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাবনা
বাকি ম্যাচ: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১টি টেস্ট (হোম), পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি টেস্ট (হোম)।
সর্বোচ্চ পিসিটি: ৬৯.৪৪%
চার ম্যাচের টানা জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা এখন ফাইনালের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে।
নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ
বাকি ম্যাচ: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি টেস্ট (হোম)।
সর্বোচ্চ পিসিটি: ৫৭.১৪%
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনা অনেকটা কমে গেছে। তারা যদি বাকি দুই ম্যাচ জিতে, তাহলে পিসিটি হবে ৫৭.১৪%, যা ফাইনালের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে।
বর্তমানে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তবে আসন্ন ম্যাচগুলোর ফলাফল ডব্লিউটিসি ফাইনালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা বাকি দলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮