রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে রিশাদ হোসেন এখন আছেন গায়ানায়। গত দুই দিনে নিশ্চয়ই তার নজর ছিল সৌদি আরবের জেদ্দায় আইপিএলের নিলামে। সেখান থেকে অবশ্য কোনো সুখবর আসেনি তার জন্য। তবে একটা স্বস্তির ছোঁয়া সম্প্রতি পেয়েছেন তিনি। বিগ ব্যাশে অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও খেলতে পারবেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ার এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে শুরুতে সাত দিনের অনাপত্তিপত্র দিলেও পরে আরও দু্ই দিন বাড়িয়েছে বিসিবি। রিশাদের বিপিএল দল ফরচুন বরিশাল চাইলে এই সময়টা বাড়বে আরও।
বরিশাল দলের সূত্রে জানা গেছে, বিসিবির অনাপত্তিপত্রে সঙ্গে বাড়তি আরও দিন দশেকের জন্য রিশাদকে বিগ ব্যাশে থাকতে দেওয়ার ভাবনা শুরুতে তাদের ছিল। পরে আবার নিজেদের প্রয়োজনের কথা ভেবে সেখান থেকে তারা সরে আসে। তবে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি এখনও। বিদেশি ক্রিকেটারের প্রাপ্যতা, নিজেদের সম্ভাব্য পরিকল্পনাসহ পারিপার্শ্বিক আরও নানা কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পর সুযোগ থাকলে রিশাদকে বাড়তি সময় দিতে পারে বরিশাল।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিংয়ের পর সেপ্টেম্বরে বিগ ব্যাশের ড্রাফটে রিশাদকে দলে নেয় হোবার্ট হারিকেন্স। তবে সেখানে তার খেলা নিয়ে সংশয় ছিল মূলত বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও বিপিএলের কারণে।
এবারের বিগ ব্যাশ শুরু ১৫ ডিসেম্বর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের শেষ টি-টোয়েন্টি ১৯ ডিসেম্বর রাতে। বিপিএল শুরু ৩০ ডিসেম্বর। মাঝের ফাঁকা সময়টায় অস্ট্রেলিয়ায় খেলবেন রিশাদ।
“রিশাদের অনাপত্তিপত্রের বিষয়টা আসলে... প্লেয়ার্স ড্রাফটের সময়ই যখন বিগ ব্যাশের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আমরা বলে দিয়েছিলাম ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারবে রিশাদ। এখন আরও দুই দিন বেড়ে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে ওর ছাড়পত্রের মেয়াদ।”
এই সময়ের মধ্যে হোবার্ট হারিকেন্সের ম্যাচ আছে কেবল দুটি- ২১ ডিসেম্বর পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে, ২৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের সঙ্গে।
এরপর বরিশালের কাছ থেকে বাড়তি সময় না পেলে তাকে দ্রুতই ফিরতে হবে দেশে। ৩০ ডিসেম্বর বিপিএলের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
বিগ ব্যাশে রিশাদকে কিছু দিনের জন্য ছাড় ব্যাপারটি মালিকপক্ষের ওপর ছেড়ে দিলেন বরিশালের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান।
“এটা আসলে কোচের একার সিদ্ধান্তে কিছু হয় না। মালিকপক্ষ একটা ক্রিকেটারকে যখন দলে নিয়েছে, অনেক কিছু চিন্তা করেই নিয়েছে। আমার কথায় আসলে কিছু হবে না। মালিকপক্ষ ও টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনার পর এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”
তবে দলের প্রধান কোচ হিসেবে এই প্রসঙ্গে নিজের ভাবনাও জানিয়ে রাখলেন মিজানুর রহমান।
“কোচ হিসেবে আমি বলতে পারি, এখানে দুইটা বিষয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমার দলের জন্য রিশাদ অনেক বড় সম্পদ। আমি বা দলের যে কেউই চাইবে, সে যেন শুরু থেকেই আমাদের হয়ে খেলে। লেগ স্পিনার হিসেবে যে কোনো সময়ই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তার আছে।”
“একইসঙ্গে রিশাদ বা অন্য কেউ বাইরের বড় কোনো লিগে খেললে তার নিজের জন্য, দেশের ক্রিকেটের জন্যও ভালো হবে। অনেক অভিজ্ঞতা পাবে। যেটা পরে কাজে লাগবে। যেটা বললাম, আমি হয়তো আমার পক্ষ থেকে এসব বিষয় আলোচনা করব। এরপর মূল সিদ্ধান্ত আসলে মালিকপক্ষ থেকেই আসবে।”
বিগ ব্যাশের আগে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগেও ডাক পেয়েছিলেন রিশাদ। তবে ভিসা জটিলতায় গত জুলাই-অগাস্টে ওই টুর্নামেন্টে খেলতে যেতে পারেননি তিনি।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮