দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন কিংস্টনের সাবাইনা পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন জেইডন সিলস। ১৫.৫ ওভারে ১০ মেইডেনসহ মাত্র ৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার, যা টেস্ট ক্রিকেটে ১৯৭৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং ফিগার (সর্বনিম্ন ৬০ বল বোলিংয়ের শর্তে)।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ১৬৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জবাবে তারা প্রথম দিন শেষে ৭০ রানে ১ উইকেট হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে ৯৪ রানে।
বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ প্রতিরোধমূলক। শাদমান ইসলাম (৬৪) ও শাহাদাত হোসেন (২২) দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়ে ইনিংসটাকে স্থিতিশীল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শামার জোসেফের তোপে দ্রুত ভেঙে যায় সেই জুটি।
শামার প্রথমে বোল্ড করেন শাহাদাতকে, এরপর জাকের আলীকে শর্ট বলে বাউন্সারে বিভ্রান্ত করে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। শাদমান, যিনি দলের জন্য একমাত্র ফিফটি এনে দিয়েছিলেন, তিনিও শামারের শিকার হন। তার অফ-স্টাম্পের বাইরে থাকা ডেলিভারি উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার হাতে সহজ ক্যাচে পরিণত হয়।
এর মধ্যেই লিটন দাস মাত্র ১ রান করে জেইডন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। শামার (৩/৪৯) ও সিলসের সম্মিলিত আক্রমণে মাত্র ৩৪ বলে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট।
দল যখন ব্যাটিং ধসে, তখন মেহেদী হাসান মিরাজ (৩৬) ও তাইজুল ইসলাম ১১৬ বল মোকাবিলা করে ৪১ রানের জুটি গড়েন। তবে আলজারি জোসেফের শর্ট বলে বিভ্রান্ত হয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তাইজুল। এরপর দ্রুত ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার।
সিলস বাংলাদেশের শেষ তিন উইকেট তুলে নেন মাত্র ৫ রানে। তাসকিন আহমেদ পুল করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে অ্যালিক আতানাজের হাতে ক্যাচ দেন। মিরাজও শর্ট বল খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন। আর শেষ ব্যাটার নাহিদ রানার লেগ স্টাম্প উপড়ে দিয়ে ইনিংস শেষ করেন সিলস।
জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা ধীরেসুস্থেই করে। বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানা ১৫০ কিমি/ঘণ্টার গতিতে বল করে মাইকেল লুইসকে ১২ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। তবে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট (৩৩*) ও কেসি কার্টি (২১*) অপরাজিত থেকে দলকে ৭০ রানে নিয়ে যান।
বাংলাদেশি পেসাররা শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। নাহিদ রানার পেস এবং তাইজুল ইসলামের স্পিন ক্যারিবীয় ব্যাটারদের চাপে রাখে। তবে দিন শেষে কোনো বড় সাফল্য পায়নি তারা।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯৪ রানে এগিয়ে রয়েছে এবং হাতে রয়েছে ৯ উইকেট। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখন স্বাগতিকদের হাতে, আর বাংলাদেশের বোলারদের প্রয়োজন দ্রুত উইকেট তুলে নেওয়া। অন্যথায় ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা আরও কমে আসবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮