জয়ডেন সিলস কিংস্টনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছেন। তার ১৫.৫-১০-৫-৪ স্পেলের ইকোনমি রেট মাত্র ০.৩১, যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এই স্পেলটি ২১ শতাব্দীর সেরা ইকোনমিক স্পেল হিসেবেও জায়গা করে নিয়েছে।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ১৬৪ রানে অলআউট করে ক্যারিবীয় বোলাররা। সফরকারীরা একসময় ৮৪-২ স্কোরে ভালো অবস্থানে থাকলেও শামার জোসেফের (৩-৪৯) ট্রিপল-উইকেট ধাক্কায় ধসে পড়ে। পরে জয়ডেন সিলসের দুর্দান্ত স্পেলে শেষ ৫ উইকেট দ্রুত হারায় বাংলাদেশ।
ইতিহাসে দ্বিতীয় স্থান
সিলসের এই অসাধারণ স্পেল টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট ধারণ করেছে। সর্বকালের সেরা ইকোনমি রেটের রেকর্ড রয়েছে ভারতের বাপু নাদকারনির, যিনি ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২-২৭-৫-০ স্পেলে ০.১৫ ইকোনমি রেট বজায় রেখেছিলেন।
২১ শতাব্দীর রেকর্ড ভাঙা
জয়ডেন সিলসের আগে ২১ শতাব্দীতে সেরা ইকোনমি রেট ছিল ভারতের উমেশ যাদবের। তিনি ২০১৫-১৬ মৌসুমে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১-১৬-৯-৩ স্পেলে ০.৪২ ইকোনমি রেট করেছিলেন। এছাড়া এই শতাব্দীতে শীর্ষ দশে জায়গা করে নেওয়া আরেকটি স্পেল হলো নাথান লায়নের ২২-১৭-১০-০, যার ইকোনমি রেট ০.৪৫।
ইতিহাসের সেরা ১০টি স্পেলের তালিকা (৯০ বলের বেশি)
সিলসের ১৫ ওভারের বেশি বোলিং করা স্পেলে চারটি উইকেট আছে, যা এই তালিকায় অনন্য।
৮-বল ওভারসমূহের রেকর্ড ছাড়াও পুরুষদের মধ্যে এত কম ইকোনমি রেটের বোলিং আর কেউ করতে পারেননি।
নারীদের রেকর্ড
নারীদের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন ইকোনমি রেটের রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রায়েলি থম্পসনের। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯-১১-১১-১ (৮ বলের ওভার) ইকোনমি রেট ছিল ০.৪৩।
জয়ডেন সিলসের এই কীর্তি শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটেই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসেও চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। তার বোলিং দক্ষতা এবং নিয়ন্ত্রিত ইকোনমি রেট ক্যারিবীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ জাকারিয়া ইসলাম
ঠিকানা: ৫২/৬, র্যামস উইনিটি, পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থপথ, ঢাকা-১২০৫
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৭২২-৫৬৮০০৮